আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনে মিনায় জড়ো হয়েছে মুসল্লিরা। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত তাঁবুর নগরী মিনা। আজ রোববার ইবাদত বন্দেগি শেষ করে আগামীকাল ফজরের নামাজের পর আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠাকিতার জন্য উপস্থিত হবে আল্লাহর মেহমানরা। করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছর হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে সৌদিতে বসবাসরত ১৫০টি দেশের নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ৬০ হাজার হাজী।
সৌদির গণমাধ্যম জানায়, মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি লাভ ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় এখন তাঁবুর শহর মিনায় সমবেত হাজারো মুসল্লি। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে হাজীরা। করোনা মহামারীর দ্বিতীয় বছর সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত পবিত্র হজ পালিত হচ্ছে।
শনিবার এশার নামাজের পর নির্ধারিত তিন হাজার বাসের প্রতিটিতে ২০ জন করে হাজীকে কাবা শরিফ থেকে নয় কিলোমিটার দূরে মিনায় নেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যদিয়ে পবিত্র হজ শুরু হয়েছে। সাদা কাপড়ে এহরাম বেধে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও পাপমুক্তি কামনা করছে মুসল্লিরা।
রোববার মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাত্রি যাপন করবে হাজিরা। সোমবার ফজরের নামাজের পর হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনে আরাফাত ময়দানে যাবে তারা। সেখানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের মুল খুতবা দেবেন কাবার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ডক্টর বানদার বালিলাহ। পরে সেখানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবে আল্লাহর মেহমানরা।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান শেষে সন্ধ্যায় মুজদালিফায় গিয়ে আবারো মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় এবং পাথর সংগ্রহ করবে হাজিরা। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতে থেকে পরদিন আবারো মিনায় ফিরে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি ও শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবে তারা। এরপর মাথার চুল কেটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।